বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর মিন্নি জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন। আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। একই বছরের ৪ অক্টোবর মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে পৌঁছে। এরপর ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান। এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে ১৬ জুলাই মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
