শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশে সম্পদ কাদের, শনাক্ত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশে সম্পদ কাদের, শনাক্ত হচ্ছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় এখনো চার্জশিট জমা হয়নি। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই দেশের কাছ থেকে এখনো কোনো তথ্য পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। এজন্য মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি অবৈধভাবে টাকা পাচার করে সম্পদ গড়েছেন তাদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ও জামায়াতের অনুমতি চাওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচনের আগে অনেক কথাই বলবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি অন্য দলও আছে তারাও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারে। জনগণ বিরক্ত হয়, এমন কোনো কাজ যেন তারা না করে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে আমাদের আপত্তি নেই। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তাঘাট বন্ধ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে সিআইডির মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সিআইডি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এটি পুলিশের প্রযুক্তি, বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা সমন্বিত সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ড, সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা এ বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে তদন্ত করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আধুনিক তদন্ত প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে মানি লন্ডারিংসংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই ও আমেরিকান তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মতো সিআইডিও বিশ্ব পরিমণ্ডলে সুনাম অর্জন করবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট গভর্ন্যান্স। স্মার্ট গভর্ন্যান্সের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলা। সিআইডি গুণগতমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অফিসারদের দক্ষ করে তুলছে। ফলে তদন্তের মানে ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে। সিআইডির তদন্তের নৈপুণ্য বিবেচনা করে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডির ওপর অর্পণ করা হয়েছে।

সিআইডি-প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পুলিশিংয়ের বিকল্প নেই। স্মার্ট পুলিশ গড়ার লক্ষ্যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সের কার্যক্রম শুরু করা হয়। চার মাসব্যাপী পরিচালিত এ কোর্সের মাধ্যমে ৪৫০ জনকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর