ঘরজুড়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। বিছানা থেকে ঘরের দরজা পর্যন্ত লেগে আছে রক্ত। কিন্তু ঘরের ভিতর যিনি থাকতেন তিনি উধাও। রক্তের দাগ দেখে সবাই নিশ্চিত হন ঘরের বাসিন্দা নাহিদ ইসলাম খুন হয়েছেন। ঘাতকরা রক্তাক্ত দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে অন্যত্র। এলাকার লোকজনের এমন সন্দেহই ছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের ধারণাও ছিল একই। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ পেয়েছে ভিন্ন ঘটনা। নাহিদ ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি অনলাইনে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে খুনের নাটক সাজিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। সিলেট থেকে পালিয়ে তিনি নরসিংদীতে আত্মগোপন করেছেন। সেখান থেকেই নাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নাহিদ ইসলাম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মাথিউরা পূর্বপাড় গ্রামের আবদুল হেকিমের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার ভোর রাতে মাথিউরা পূর্বপাড় গ্রামে আবদুল হেকিমের কেয়ারটেকারের ঘরজুড়ে রক্তের দাগ পড়ে থাকার খবরটি জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমান উদ্দিন। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তমাখা বিছানা, বারান্দা ও ঘরের মেঝ দেখতে পেলেও নাহিদকে খুঁজে পায়নি। অবস্থাদৃষ্টে সবার ধারণা হয়, রাতের আঁধারে কেউ নাহিদকে খুন করে গুম করার উদ্দেশ্যে রক্তমাখা লাশ নিয়ে গেছে। পুলিশও প্রথমে ঘটনাটি হত্যাকান্ড ধরে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘরে লেগে থাকা রক্তে দুর্গন্ধ সৃষ্টি না হওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের। ঘরের ভিতর একটি বালতি ও মগেও পাওয়া যায় রক্তসদৃশ দাগ। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ল্যাবে পাঠালেও পরীক্ষায় সেটি রক্ত কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে নাহিদ খুন হননি। তিনি আত্মগোপন করে আছেন নরসিংদীতে। তারপর গত শনিবার তাকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিলেটের পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ জানিয়েছেন তিনি প্রায় ১৪ বছর ধরে বিয়ানীবাজারে ভুয়া পরিচয়ে অবস্থান করছিলেন। কলেজে পড়ালেখা অবস্থায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিনি সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের কাছে চিহ্নিত হন। এরপর থেকে তিনি গ্রামেরবাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার বড়ভিটা পূর্বপাড়া ছেড়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার এসে আশ্রয় নেন। পুলিশ সুপার জানান, নাহিদ মূলত অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জুয়া খেলতে গিয়ে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপর তিনি ভুয়া পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। তিনি জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ তার ঘর তল্লাশি করে একটি ডায়েরি পায়, যাতে অনেক দেনা-পাওনার হিসাব লেখা ছিল।
শিরোনাম
- তাপস ও তার সন্তানদের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ ১৬ দেশে মধ্যরাত থেকে ভোটার নিবন্ধন শুরু
- ‘পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, ব্যক্তিগত নয়’
- চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
- সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদের সম্পত্তি ক্রোক
- দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ
- ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম হাবিবুর রহমান আর নেই
- সাত দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মানববন্ধন
- নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- আইসিইউতে ৪১ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইইডিসিআর
- ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল
- রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার
- ‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’
- চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান
- সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক
- ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
- আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের
- অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
- প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী