বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেছেন ‘কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে। এখানে কেন্দ্রের দু-একজন নেতা সরাসরি জড়িত।’

তিনি আবারও বলেছেন- ‘আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি’। কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা জাসদ কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে ভোট-পরবর্তী দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ইনু এসব কথা বলেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হন টানা তিনবারের এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন।

ইনু বলেন- বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও কারচুপির ঘটনা ছাড়া সারা দেশের ভোট সুষ্ঠু হয়েছে এই মতের সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো আমার এলাকা ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনার অন্তর্ভুক্ত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনী ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ্য করা গেছে- যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রতিবাদ এবং উপর্যুপরি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইনু বলেন- আমি মনে করি, কুষ্টিয়া-২ আসনে আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি। আশা করি এটা সবাই তদন্ত করে দেখবেন এবং এর প্রতিকার ও বিহিত করবেন। জোট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, নির্বাচনি ঘটনা নিয়ে জোটে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটা অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। একই সঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ¦ী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডা বাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধমকি অত্যাচার শুরু হয়েছে এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না। গত সোমবার (নির্বাচনের পরের দিন) ভোটে কারচুপি ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিলেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সর্বশেষ খবর