বিএসএফের গুলিতে শিশু জয়ন্ত কুমার সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। গতকাল হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন কৌশল অবলম্বন করা উচিত। বারবার হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতির পরও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ নির্মম কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। কোনো একটি দেশের নাগরিক বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অন্য দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই তারা যেন নির্যাতন ও মৃত্যুর শিকার না হন সে ব্যবস্থাও নিতে বলে বাংলাদেশ। চিঠিতে এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ, সীমান্ত-সম্পর্কিত সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার।
দুই দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থেই সীমান্ত হত্যা থেকে ভারতের বেরিয়ে আসা উচিত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থেই সীমান্ত হত্যা থেকে ভারতের বেরিয়ে আসা উচিত। সীমান্ত হত্যা দুই দেশের সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। সীমান্ত হত্যা ভারতের উপকার করছে- এরকমটি কাউকে বলতে শুনিনি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের এটুকুই করার আছে। আমরা সবসময় বলছি, সীমান্ত হত্যা একটি সংবেদনশীল বিষয়। আশা করছি ভারত বিষয়টিকে বিবেচনায় নেবে। তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি। বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তের হত্যাকাণ্ড নিয়েও আমরা একই রকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে সুযোগ হয়, সেখানেই এ বিষয়ে আমরা বলব। প্রতিবাদ জানানোর পর ভারতের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।