শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর মূল কাগজ চাওয়া হবে এবং খতিয়ে দেখা হবে। এতদিন রাজনৈতিক চাপে সরকারি কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন। ফলে তারা বাধ্য হয়েই যে কোনো সরকারি প্রাক্কলন করতেন।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরের পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে সরকারের তথ্য তৈরি, পরিবেশন এবং প্রাক্কলন যারা করেন এমন ২৪টি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. সেলিম রায়হানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংস্থাগুলোর মধ্যে বিবিএস, বিআইডিএস, এনবিআর, বিডা, বেজা, বিসিক, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ড. দেবপ্রিয় বলেন, যারা ভয়ে বা চাপে এতদিন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে এখন সময় এসেছে সেটি কাজে লাগান। জিডিপি, জাতীয় আয়, মূল্যস্ফীতি এবং এডিপির যে প্রাক্কলন করা হয় এগুলোর বস্তুগত ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। এগুলো কীভাবে হয় এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য আমরা আলাদাভাবে বিবিএসের সঙ্গে বসব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় সভা হবে। আমরা তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। এখন লেখার কাজ কীভাবে শুরু হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা যে উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলাম এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দ্রুত ঢাকার বাইরে টাউন হল বৈঠক করা হবে। আমরা কী পেয়েছি সেই ভিতরের জিনিস এখন বলার সময় নয়, সময় এলে বলা হবে।