আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের শর্ত মেনে নয়, রাজস্ব ঘাটতি কমাতেই অন্তর্বর্তী সরকার ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আরও বলেন, এই ভ্যাট আরোপের কারণে সাধারণ মানুষের ওপরে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। ট্যাক্সের টাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত বিফ্রিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপির যে অনুপাত হার, এটা ২০২১ সালে কভিডের পর থেকে খুব নেমে যাচ্ছে। এটা কমতে কমতে এমন জায়গায় গিয়েছে যে, এই বছর পাঁচ মাসে আমাদের ট্যাক্স ঘাটতি হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা।
আমাদের টার্গেট ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেটা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি।’ তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স জিডিপি রেশিও’র দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে নিচের দিকে রয়েছে। এটা এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যেটা আনসাসটেইনেবল। বাংলাদেশের গ্রোথের জন্য ট্যাক্সটাকে একটা জায়গায় নিতেই হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।’
ভ্যাট আরোপের যুক্তি দিয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘ভ্যাটে অনেক বৈচিত্র্য ছিল। কিছু কিছু জায়গায় ৩ শতাংশ, কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু বেশি- পুরোটাকে চাচ্ছি সরলীকরণ করে ১৫ শতাংশ আনতে।
সরলীকরণ করলে যেটা লাভ হয় এখানে লিকেজটা কমে আসে। লিকেজ কমানো খুব দরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি খরচটা কীভাবে কমানো যায়।