শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

লেডিস ব্লেজারে আভিজাত্য

লেডিস ব্লেজারে আভিজাত্য

♦ মডেল : আরশী আলম ♦ আউটফিট : ইনফিনিটি ♦ মেকওভার : শোভন মেকওভার ♦ ছবি : মনজু আলম

নগরে হাড় কাঁপানো শীত শুরু হয়নি। তবে ঠান্ডা হাওয়া বয়েই যাচ্ছে। তাই এই সময় সহজেই স্বাচ্ছন্দ্য দেবে এমন পোশাক বেছে নেওয়া ভালো। সেই তালিকায় ১৫ থেকে ৪৫; সব বয়সীর পছন্দ ব্লেজার। আরামদায়ক, স্টাইলিশ, অভিজাত পোশাক হিসেবে এই সময় ব্লেজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

আগে ব্লেজারকে কেবল ফরমাল পোশাকই মানা হতো। এখন সেই ধারা পাল্টেছে। শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও পরছে ব্লেজার। কেবল অনুষ্ঠানেই নয়, নিত্যদিনের পোশাক হিসেবেই কেউ কেউ তাদের সঙ্গী করে নিচ্ছেন ব্লেজার। তাই তো ডিজাইনাররা বিষয়টি ভেবেই ব্লেজারের রং ও কাটে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

 

প্রাচীন থেকে আধুনিক, কালের পরিক্রমায় ব্লেজারের জমিনে এসেছে পরিবর্তন। একসময় ড্রেস কোড হিসেবে কেবল ব্লেজারের প্রচলন ছিল। বর্তমানে সেই গন্ডি পেরিয়ে শীত তাড়াতে ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে ব্লেজার পরছেন অনেকেই। বরাবরের মতোই এবারের শীতেও বাজারে এসেছে নানা ডিজাইনের ব্লেজার। শর্ট শার্ট, ভেন গলা টি-শার্ট আর জিন্স প্যান্টের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্লেজার শীতকে জয় করে নিচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। স্লিম ফিটেড ওয়েস্ট কম্বিনেশনের এসব ক্যাজুয়াল ব্লেজার চার্মিং লুক নিয়ে আসবে খুব সহজেই।

 

অফিস পার্টি, ফরমাল বা ক্যাজুয়াল লুক, আড্ডা আর ভ্রমণের সঙ্গে আজকাল যোগ হয়েছে ব্লেজার স্টাইল। রং বৈচিত্র্য এবং কাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সিলিকট কাপড়ের ব্লেজারগুলো পকেটে পাইপিং দেওয়া একটু ভিন্ন ডিজাইনের এসব ক্যাজুয়াল ব্লেজার বেশি পছন্দ তরুণদের। মেয়েদেরও এসব ব্লেজার বেশ মানায়। বিশেষ করে নেভি-ব্লু, কফি কালার, গ্রিন, হালকা মেরুন, অফহোয়াইট কালারেরগুলো অল্প বয়সীরা বেশি পছন্দ করছে। আবার সিঙ্গেল বাটন স্টাইলটাও তরুণ-তরুণীরা বেশি পছন্দ করছে। আসলে ফরমালের চেয়ে ক্যাজুয়াল ব্লেজারের প্রতি সবার আকর্ষণ বেশি। ব্লেজারের কাপড়, কাটছাঁট, বোতাম, রঙে লেগেছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। সুতি, শার্টিং ছাড়াও ফ্যাশনেবলরা মখমল কাপড়ের স্যুটকেও পছন্দ করেন বেশি। যে কোনো পার্টি বা জমকালো অনুষ্ঠান ব্লেজার গেটআপের রাজত্বটা বরাবরই। তাই তো শীত ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে ব্লেজার।

চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে অফিসের বড় কর্মকর্তা হলেও থাকতে হয় পারফেক্ট ফরমাল লুকে; তা চলে পার্টি, মিটিংয়েও। ক্ল্যাসিক ফ্যাশন সচেতনদের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোতেও এমন আয়োজন দেখা যায়। বাজার ঘুরে চোখে পড়ে অ্যাশ প্রিন্টেড স্যুট, ব্ল্যাক ম্যাচিং স্ট্রাইফ স্যুট, বিস্কুট স্যুট। অথবা এ কাটিংয়ের ক্যাজুয়াল ব্লেজার। তবে রাউন্ড নেকের কাটই বেশি জনপ্রিয় এ ধরনের কাপড়ে। রয়েছে দুই বাটন সাইড ওপেন ব্লেজারগুলোর চাহিদা।  ফ্যাশনিয়েস্তাদের তালিকায় রয়েছে ন্যাড়ো শেপের ব্লেজার।

 

স্টাইলিশ শর্ট বডি ফিটিং ব্লেজারের চাহিদাও রয়েছে। আবার ব্লেজার বানানোর ক্ষেত্রেও আছে বিভিন্ন কাপড়ের ব্যবহার। ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, ইন্ডিয়ান এবং রেমন্ডের কাপড়ের ব্যবহার বেশি হচ্ছে ব্লেজারে। সে সঙ্গে কালারের বিষয় তো আছেই। এবারে ব্ল, ব্ল্যাক এবং মাল্টি কালারটা বেশি চলছে। এ ছাড়াও সাদা, ব্লু, নেভি-ব্লু বা লাইট অরেঞ্জের মতো রংগুলোও এসেছে সেমি ফরমাল স্যুটে। ইস্পাতের বাটনের চেয়ে ব্রাশ ও এন্টিক ধাঁচের বাটনও চলছে। এক রঙা স্যুট তো রয়েছেই, সঙ্গে কম যাচ্ছে না চেক আর স্ট্রাইপ কাপের স্যুট। ইজি পোশাক তৈরিতে এক অনন্য নাম। তাই আমরা সবসময় কাপড়ের গুণগত মান ও ডিজাইনে রাখি ভিন্নতা। আর দামটাও থাকে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। যেমন সিঙ্গেল ব্লেজারে খরচ পড়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। টু-পিসে খরচ পড়ে ৫ হাজার টাকা এবং থ্রি-পিসে ৬ হাজার ৫০০ টাকা।

 

লিখেছেন : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর