পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে বিমানবন্দরে সতর্কতা, মেট্রোরেলে ভ্রমণে মাস্ক ব্যবহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনকে পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা, মেট্রোরেল ভ্রমণে মাস্ক ব্যবহার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক আগমনি হলে ইমিগ্রেশনের প্রবেশস্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হচ্ছে। এ ছাড়াও টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনা সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গণপরিবহন ও জনসমাগম স্থলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে মুখমণ্ডল স্পর্শ না করার জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতন করা এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।