চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৫ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ছাড়া নওগাঁ ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চুয়াডাঙ্গা : গতকাল দামুড়হুদা উপজেলার জয়নগর সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে সাত শিশুসহ ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করে বিএসএফ। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী জানান, সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন দুই দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং ভারতের পক্ষে ৩২ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার উপস্থিত ছিলেন। হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নওগাঁ : গতকাল ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ সীমান্ত দিয়ে আট নারীসহ ১০ বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭এসসংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, বাংলাদেশ অংশের মহেশপুরে ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করা হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। তাদের আটক করে ২৯ জুলাই বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ। বিএসএফ গতকাল তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম চলছে।
পঞ্চগড় : সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। গতকাল সকালে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর থেকে সাতজন ও সদরের ঘাগড়া থেকে ১০ জনকে আটক করে বিজিবি। আটকরা হবিগঞ্জ, সিলেট, ফরিদপুর, খাগড়াছড়ি, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, বরিশাল, যশোর, সিলেট, নরসিংদী ও নওগাঁর বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করে আসছিলেন। সম্প্রতি তাদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। বুধবার গভীর রাতে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে বিজিবি। পঞ্চগড় সদর এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ জানায়, আটকদের শেল্টার হোমে রেখে যোগাযোগ করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।