ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী নেতারা হলে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। অনেকেই বিভিন্ন হলের দোকানে স্বউদ্যোগে বা হল প্রশাসনকে মাধ্যম রেখে জরিমানাও করছেন। তবে ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রনেতাদের এভাবে জরিমানা করার সুযোগ নেই। এসব তাদের কার্যক্রমের আওতাধীনও নয়। খবর : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সমাজসেবা সম্পাদক পদে দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তিনি হলের পাঁচটি দোকানে অভিযান চালিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে নিজের অভিযানের তথ্য তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, দ্রুতই এসব দোকানের মালিকদের হল প্রশাসনের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। দোকানগুলো পুনরায় অস্বাস্থ্যকর বা পচা খাবার পরিবেশন করলে হল প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে লিখিত নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা অনেকদিন ধরেই খাবারের সঙ্গে টেস্টিং সল্ট দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছিলেন। মাস্টার দা সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে অভিযান চালিয়ে খাবারে টেস্টিং সল্ট খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন হলের ভিপি আজিজুল হক। এ সময় তিনি ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। ১৫ দিনের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না হলে ক্যান্টিন ছাড়ার বিষয়ে ম্যানেজারকে প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। অভিযানের পর তা তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে আজিজ লেখেন, সূর্যসেন হল ক্যান্টিন পরিদর্শনে গিয়ে আমরা বেশ কিছু অসংগতি দেখতে পাই। যেমন, খাবার পরিবেশন এবং রান্নার সময়ে কারও মাথায় কোনো ক্যাপ ছিল না। রান্নাঘরে কয়েক শ ফিল্টার ছিল এবং রান্নার সময় সিগারেট খাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে। তিনি লেখেন, হাফপ্যান্ট পরে কর্মচারীরা কাজ করছেন। এ ছাড়া এমন কিছু আইটেম তালিকাভুক্ত করা ছিল, যা সেদিন রান্নাই করা হয়নি। ডালের মধ্যে কোনো ডাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক কেজি টেস্টিং সল্ট পাওয়ায় ভিপি আজিজুল হক ওবায়দুল হক নামে এক দোকানদারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সমাজসেবা সম্পাদক জহির রায়হান টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের কারণে এক দোকানদারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীরা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরিত্র, ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলি তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে বিতর্ক আয়োজন, জার্নাল প্রকাশ, সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম, খেলাধুলা আয়োজন করবেন। এ ছাড়া হলের সভাপতি তথা প্রভোস্টের অনুমতিক্রমে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন। তাদের হলে এমন কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার নেই বলে মনে করছেন হল প্রভোস্টরাও।