চলতি বছরের আগস্ট মাসে ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৮ জন নিহত ও ৭৯১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। যা মোট দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ৩০ শতাংশের বেশি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুলাইয়ে ১৯টি নৌদুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এর আগে গত জুলাইয়ে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৮ জন নিহত ও ৮৫৬ জন আহত হয়েছিলেন। আগস্টে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির তথ্য তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৬৮ জন ও শিশু ৩৪ জন। এর মধ্যে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন। দুর্ঘটনায় ৮৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫২ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহত হওয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৩২ জন, বাসের যাত্রী ৩০ জন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রলি-লরির আরোহী ২৭ জন, প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২১ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৭ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নছিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্রা) ৩৩ জন এবং বাইসাইকেল আরোহী পাঁচজন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৬০টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাগুলোর ৯০টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮৫টি পথচারীকে ধাক্কা দেওয়া, ৬২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১৯টি দুর্ঘটনায় ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৩৬টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এ জেলায় ছয়টি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। রাজধানী ঢাকায় ৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।