দুর্ঘটনার খবর শুনে লাইভ করতে ছুটে যান নাটোরের স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘সংবাদ শৈলী’র রিপোর্টার রাহিদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইভ চলাকালে দেখতে পান, আহত ব্যক্তি তারই বাবা। পরে লাইভ বন্ধ করে বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। কিন্তু পথমধ্যেই তার বাবার মৃত্যু হয়। গতকাল সকালে নাটোরের হরিশপুর বাইপাস চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মজিবর রহমান (৬০) নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকার বাসিন্দা। রাহিদ জানান, তার বাবা নাটোর শহরের নিচাবাজারে সবজি বিক্রি করতেন। সকালে একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাইভ করতে হরিশপুর বাইপাস চত্বরে পৌঁছে লাইভ শুরু করেন রাহিদ। তখন তিনি দেখেন, তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে লাইভ বন্ধ করে বাবাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে রিকশাভ্যানে করে যাওয়ার সময় অটোরিকশা ও বাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।