এমন এক সময় ছিল যখন পুত্রবধূকে প্রহার করতে শোনা যেতে শাশুড়ির বিরুদ্ধে। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে সে চিত্রও। বর্তমানে উল্টো পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শাশুড়িকে প্রহারের কথা শোনা যায়। কিন্তু কখনো কি স্বচক্ষে দেখেছেন নির্যাতনের সেই দৃশ্য। না দেখে থাকলে নিচের ভিডিওতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন। সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে শাশুড়িকে নির্মমভাবে মারধর করেছে সঙ্গীতা জৈন নামের এক নারী। নির্যাতনের সেই দৃশ্য ধরে পড়ে ঘরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। পরবর্তীতে ওই ভিডিওটি সোমবার ফেসবুকে পোস্ট করেন কুন্দন শ্রীবাস্তব নামের এক সমাজসেবী। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যেতেই মঙ্গলবার ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর ওয়ানইন্ডিয়ার।
ভিডিওতে দেখা যায়, সত্তরোর্ধ্ব শ্বাশুড়ি রাজরানী জৈনকে পিছন থেকে এসে আক্রমণ করে ছেলে বৌ সঙ্গীতা। প্রথমে গলায় দড়ি বেঁধে তাঁর শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে সে, পরে ইঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পাশাপাশি সমান তালে চলেছে কিল, ঘুষি। এমনকি টেনে হিঁচড়ে তাঁকে খাট থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিল সঙ্গীতা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় পুলিশ সঙ্গীতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
সঙ্গীকার স্বামী সন্দীপ কুমার জৈন মায়ের ঘরে এই সিসিটিভি ক্যামেরাটি লাগিয়েছিলেন। তার মা-বাবার উপর বহুদিন ধরেই সঙ্গীতা অত্যাচার চালাচ্ছিল। সঙ্গীতাকে হাতে নাতে ধরতেই সন্দীপ সিসিটিভির সাহায্য নিয়েছিল। সন্দীপের ভাষ্য, "বহুদিন ধরেই সঙ্গীতা আমার মা-বাবাকে গালিগালাজ করত, মারধর করত, হেনস্থা করত। আমি ওর বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। আমি দু'বছর অপেক্ষা করার পর অবশেষে সিসিটিভি লাগাই। যাতে ও শুধরে যায়। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এদিন তো নিজের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতা। ওর মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দেব বলেই আমি সিসিটিভি লাগিয়েছিলাম। কারণ এইসব ক্ষেত্রে আইন সবসময় নারীদের পাশেই থাকে।"
উল্লেখ্য, ৭ বছর হল সন্দীপ ও সঙ্গীতার বিয়ে হয়েছে। এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছে। এর মাঝে সঙ্গীতা নাকি স্বামী সন্দীপের নামে মিথ্যা মামলাও দায়ের করেছে স্থানীয় থানায়।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব