ভারতের উত্তর প্রদেশে এক মাঝবয়সী নারীকে গণধর্ষণ করে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পর ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। পরে নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরেও গত দুদিন ধরে ধৃতদের কঠোরতম শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী।
পুলিশের কাছে ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে তাকে গণধর্ষণ করা হয় আর মঙ্গলবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের গ্রামে। বিকেলে ওই নারী বিষপান করেন।
উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরের ছাপড়া গ্রামের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী একজন গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহায়িকা। তাঁকে রবিবার রাতে গ্রামেরই এক ব্যক্তি ডেকে নিয়ে যান এক আত্মীয়ার প্রসবের সময়ে। তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যক্তি এবং তার আরও তিনসঙ্গী গণধর্ষণ করে। এসময় গোটা ঘটনার ভিডিও করে রাখে তারা। মূল অভিযুক্ত মঙ্গলবার ওই ভিডিওটি গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় নির্যাতিতাকে। বিকেলে মধ্যেই সেটি সত্যিই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানার পরে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।
মুজফফরনগরের শহরাঞ্চলীয় পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট প্রদীপ গুপ্তা টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় যেটা অপরাধ, সেটাই করা হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে। দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সাহিব উত্তরখন্ড রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনা সামনে আসার পরে সেখানে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। দুদিন ধরে জাতীয় মহাসড়ক অবরোধও করা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারী, কঠোর শাস্তি, নির্যাতিতার স্বামী সরকারী চাকরী প্রভৃতি দাবী তুলেছেন। পুলিশ সুপার বলছেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব