পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে তাইওয়ানে। দেশেটিতে তীব্র শীতে অন্তত ৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় কমপক্ষে ৬০ হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, সপ্তাহের শেষে হঠাৎ করে তীব্র শীত নেমে আসায় হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত লোকজনের পরিমাণ বাড়ছে। যাদের বেশিরভাগ বয়স্ক। ঠাণ্ডাজনিত রোগে এখন পর্যন্ত তাইওয়ানে ৮৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেই মারা গেছেন ৮২ জন।
ইতিমধ্যে শীতের ধকল সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের ভর্তি হওয়া রোগীরা বলছেন, তীব্র ঠাণ্ডায় তারা হার্টের সমস্যা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
রবিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশটির ৪৪ বছরের ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে অতিরিক্ত তুষারপাতের দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এই বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট।
একই সঙ্গে জাপান, চীন ও হংকংয়েও প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশগুলোতেও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। নাগরিকদের বিশেষ করে বয়স্কদের শীতে বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব