ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নয়াদিল্লি বাহিনীর সংঘর্ষে নিশ্চিতভাবেই অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে। জনপ্রিয় গেরিলা নেতা বুরহান ওয়ানি গত শুক্রবার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরে এ বিক্ষোভের সূচনা হয়।
হিমালয়ের রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে গতকাল দুই আহত বিক্ষোভকারী মারা যাওয়ায় গত ৮ তারিখ থেকে চলমান সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা ৩৬’এ পৌঁছায়। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির হাসপাতালগুলোতে আহত রোগীর সংখ্যা উপচে পড়ছে। ১৫০০'র বেশি আহত হয়েছে এবং এদের মধ্যে অনেকের অবস্থায় বেশ সংকটাপন্ন।
প্রধান একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, গত তিন দিনে তারা চোখের যতো অস্ত্রোপচার করেছেন গত তিন বছরে ততটি করেননি। চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রক্ত এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মারাত্মক ঘাটতি আরো মৃত্যু ডেকে আনবে।
এদিকে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরের বেশির ভাগ অঞ্চলে সান্ধ্য আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। শ্রীনগরসহ অনেকে এলাকায়ই দাঙ্গা বিরোধী পোশাকে সজ্জিত আর্মড পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সহিংসতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়া নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুলাই ২০১৬/শরীফ