তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। অভ্যুত্থানকারীরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রাজধানী আঙ্কারায় পুলিশের বিশেষ বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালালে এ পুলিশ কর্মকর্তারা নিহত হন। এছাড়া ভারী ট্যাংক নিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী। দেশটির বড় শহরগুলোতে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হয়। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি কাদের নিয়ন্ত্রণে তা বোঝা যাচ্ছে না। সেনাসদস্যরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। সারা রাত ধরে বিস্ফোরণ চলেছে। সরকার বলছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে। সেনাবাহিনী বলছে, তারা ক্ষমতা দখলে নিয়েছে।
একটি টেলিভিশন ঘোষণায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ (অভ্যুত্থানকারী) দাবি করেছে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইস্তানবুলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে একটি 'পিস কাউন্সিল' দেশ পরিচালনা করবে। দেশে কারফিউ এবং মার্শাল ল' জারি করা হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান বলেছেন, এটি কোন অভ্যুত্থান নয়, সেনাবাহিনীর একটি অংশের হীন প্রচেষ্টা। তিনি এ ঘটনাকে দেশদ্রোহিতা আখ্যা দিয়ে বলেন, যারা এর পেছনে ছিলেন তাদের বড় মূল্য দিতে হবে। এদিকে মোবাইল ফোনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। এরপরই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে এর্দোয়ান সমর্থকরা।
এর আগে এর্দোয়ানের হাজার হাজার সমর্থকের বিক্ষোভের মুখে সেনা বাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ইস্তানবুল বিমান বন্দর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এবং রাজধানী আনকারার আকাশে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ