তুরস্কে ডানপন্থি সরকারকে হটাতে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের পক্ষে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে জনতা, পুলিশ আটক করছে বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের।
এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান শনিবার প্রথম প্রহরে ইস্তানবুলে পৌঁছে বিমানবন্দরে লাইভ টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনীকে পরিশোধিত করারও ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তার সমর্থকরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে রাখে। খবর বিবিসির।
সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান ঘটনার চেষ্টার এই ঘটনায় রাতে ৬০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই দেশটির সাধারণ নাগরিক। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাইনালি ইলদিরিম বলেছেন, পরিস্থিতি অনেকাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারীদের বিমান ভূপাতিত করতে তিনি সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
এর আগে, এরদুয়ান অবকাশে থাকার মধ্যেই শুক্রবার ন্যাটো জোটভুক্ত দেশটির পরাক্রমশীল সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের শাসনভার নেওয়ার দাবি করে, যা দেশটির টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজধানী আঙ্কারা এবং দেশটির বৃহত্তম শহর ইস্তানবুলে ট্যাংক নামে, পথে পথে পাহারায় বসেন সেনা সদস্যরা। সরকারি বিভিন্ন ভবনের নিয়ন্ত্রণও নেন তারা।
উপকূলের শহর মারমারাসি থাকা এরদোয়ান অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই জনগণকে তা প্রতিরোধের আহ্বান জানান। এরপর তড়িঘড়ি করে তিনি ইস্তানবুল পৌঁছে এক ভাষণে বলেন, সেনাবাহিনীর ‘ক্ষুদ্র’ একটি দল অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল, তারা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে, এজন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।
এদিকে, দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল হুলুসি আকার কোথায় আছেন, তা এখনও অজানা। বিদ্রোহী সৈন্যরা তাকে জিম্মি করেছে বলে খবর প্রচারের কথা জানিয়েছে বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব