ফিলিপাইনে বড়োদিনের ছুটি চলাকালে টাইফুন নক টেনের আঘাতে অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ হয়েছেন ১৮ জন। আজ মঙ্গলবার দেশটির সরকার এ কথা জানায়।
এছাড়া ঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। ঝড়টি প্রথমে ক্রিসমাস ডে’তে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে আঘাত হানে। এর প্রভাবে দেখা দেয়া বন্যায় রাস্তাঘাট ও কৃষিখামার তলিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে বেশকিছু বাড়িঘর।
এদিকে টাইফুনের কারণে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে উপকূলীয় প্রদেশ বাটানাগসে। এখানে এমভি স্ট্রেইট আটলান্টিক নামের একটি ফেরি ডুবে যায়। এতে একজনের প্রাণহানি ও ১৮ ক্রু নিখোঁজ হয়ে যায়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ঘণ্টায় ২শ ৩৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া টাইফুনের আঘাতে আরও পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে। ঝড়ের কারণে পূর্বাঞ্চলের অনেক প্রদেশ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেনি।
ঝড়টির আঘাত হানার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসমূহ থেকে আগেই সাড়ে চার লাখের মতো লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩৩০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের অধিকাংশ লোক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। বড়দিনের এ সময়ে ঝড়ের কারণে ফিলিপিনোদের ছুটি বানচাল হয়ে গেছে। কারণ উৎসব উদযাপনের পরিবর্তে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্যে ছুটতে হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর ২০১৬/এনায়েত করিম