সিরিয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে অস্ত্রবিরতি। সরকারি বাহিনী দামেস্কের কাছে হামলা জোরদার করেছে এবং কমপক্ষে ১০ বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলেছে, চলতি মাসে পরিকল্পিত শান্তি আলোচনা তারা বর্জন করতে যাচ্ছে।
জানুয়ারির শেষে কাজাখস্তানের রাজধানী অস্তানায় এ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা বলেছেন, চার দিন ধরে চলা অস্ত্রবিরতি সিরীয় বাহিনী ভেঙেছে। ফলে তারা আলোচনা বর্জন করতে যাচ্ছে।
সিরীয় সরকার, তুরস্ক ও ইরানের সহায়তায় রাশিয়া এ আলোচনার আয়োজন করেছে। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে তুরস্ক ও ইরান।
বিদ্রোহীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, অস্ত্রবিরতি অব্যাহতভাবে ভাঙার কারণে বিদ্রোহীরা অস্তানায় শান্তি আলোচনা বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে।
তারা বলেছে, তারা গোটা সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতির প্রতি সম্মান দেখাচ্ছিল। তবে সিরীয় বাহিনী ও তাদের মিত্ররা গুলিবর্ষণ বন্ধ করেনি এবং তারা বিশেষ করে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ওয়াদি বারাদ ও ইস্টার্ন ঘাওতায় ব্যাপকভাবে অস্ত্রবিরতি লংঘন করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো ধরণের স্থল অভিযান অস্ত্রবিরতি চুক্তির বিরোধী এবং সিরীয় বাহিনী ইতোপূর্বে যা করেছে তা ফের করলে চুক্তিটি বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
সোমবার বিমান হামলা ও আর্টিলারি সহায়তা নিয়ে সিরীয় বাহিনী দামস্কের কাছে অভিযান জোরদার করেছে। তারা এলাকাটি পুনর্দখল করতে যুদ্ধ করছে। রাজধানীতে পানি সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এটি।
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আব্দেল রহমান বলেন, সরকারি বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা সামনের দিকে এগোচ্ছে এবং তারা এখন আইন আল-ফিজাহ এলাকার উপকণ্ঠে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, সরকারি সৈন্য ও তাদের মিত্র যোদ্বারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত। মধ্যাঞ্চলের হামা প্রদেশের রাসতান শহরে সরকারি বাহিনীর গোলার আঘাতে দুই বেসামরিক মানুষ নিহত ও স্নাইপারের গুলিতে আরও দুই বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৩ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ বিদেশে পালিয়ে শরণার্থী হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম