ভারত এবার অস্ত্র রপ্তানিতে আরো জোর দিতে যাচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই রপ্তানির ক্ষেত্রে উদ্যগী ভূমিকা পালন করছে। জানা যায়, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করবে ভারত। যা আগের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি। মঙ্গলবার ডিফেন্স রিসার্চ ও ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) একটি অনুষ্ঠানে এই কথা জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর।
এর আগে ২০১৪-১৫ সালে ১.৫৮২ কোটি টাকার অস্ত্র রপ্তানি করেছিল ভারত। চলতি বছরে তা ২,০৬০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। মূলত ভিয়েতনাম, মরিশাস, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, আফগানিস্তান ও ওমানে বিক্রি হয় ভারতের প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম। যার মধ্যে রয়েছে সেতু গড়ার যন্ত্রপাতি, মিসাইল, যুদ্ধজাহাজ, অফ শোর প্যাট্রোল জাহাজ (OPVs) এবং সেলফ প্রপেল্ড আর্টিলারি বন্দুক। ভারতের OPV ইতিমধ্যেই মরিশাসের জল সুরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত বলে জান গেছে।
ভারতের কাছ থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে ভিয়েতনাম। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পারিক্কর। তিনি জানান, রপ্তানি যত বাড়বে ততই বাড়বে অস্ত্র তৈরির তাগিদ। গত দুই বছরে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ও ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর ইউনিট গুলিতে উৎপাদনের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অস্ত্রের বেড়ে চলা এই রপ্তানির হার কুটনৈতিক মহলেও ভারতকে এগিয়ে রাখবে। একদিকে আফগানিস্তানের মতো বন্ধু দেশকে অস্ত্র রফতানি করলে পাকিস্তানকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলা যাবে। অন্যদিকে যদি ভিয়েতনামের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায়, তাহলে চীনের বিরুদ্ধেও ঠান্ডা লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকা যাবে- এমনটিই মনে করছে ভারত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার