জাপান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে নিজ দেশে ডেকে পাঠিয়েছে। শুক্রবার তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয়। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে জাপানি দূতাবাসের বাইরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা কোরীয় নারীদের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদে টোকিও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাদের জন্য যেসব পতিতালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে প্রায় দুই লাখ নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব যৌনদাসী নারীর মধ্যে অনেকেই ছিলেন কোরিয়ার নাগরিক। বাকি যৌনদাসীদের আনা হয়েছিল চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ান থেকে। এদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনও ৪৬ নারী জীবিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জাপান ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এ ঘটনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। শুধু তাই নয়, এমনকি এসব নারীর জন্য সিউলের গঠিত তহবিলে ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয় টোকিও। এর পরেও গত মাসে বিক্ষোভকারীরা বুসানে জাপান দূতাবাসের বাইরে যৌনদাসী নারীদের প্রতীক হিসেবে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইউশিদি সুগা বলেন, ‘দূতাবাসের বাইরে এ ভাস্কর্য স্থাপন ছিল চরম অপমানজনক এবং জাপান এটি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধও জানিয়েছিল।’
রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুগা বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ জানুয়ারি, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৫