ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এএফপির খবরে জানানো হয়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এ ব্যাপারে ট্রাম্পের পদক্ষেপ বারাক ওবামার সময়ে নেওয়া পদক্ষেপের মতোই বলা যায়।
এদিকে ইরানের ওপর আরও বেশি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসতে পারে যা বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় তেহরান পরমাণু কর্মসূচি এখন স্থগিত রেখেছে।
এদিকে পারমানবিক চুক্তিকে ট্রাম্প বরাবরই মূল্যহীন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এই চুক্তির প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান বন্ধের কথা নাকচ করে দেন।
ইরান ট্রাম্পের হুমকি প্রত্যাখ্যান করে এটাকে উসকানিমূলক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর রবিবার প্রথমবারের মতো ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় ইরান। বিস্ফোরণের পূর্বে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৬০০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ইরান এ ধরনের কোনও পরীক্ষা চালাবে না। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব অনুসারে ২০১৫ সালে ২০ জুলাই থেকে পরবর্তী ৮ বছর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারবে না ইরান।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ