ষাঁড়ের গুঁতায় আহত হলেন কমপক্ষে ৩৬ জন, এর মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। রবিবার ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মাদুরাইয়ের অবনিয়াপুরমে বসেছিল রাজ্যটির ঐতিহ্যবাহী জাল্লিকাট্টু (ষাঁড়ের লড়াই)-এর আসর। সকাল থেকে শুরু হয় সেই অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল প্রায় ৯ শতাধিক ষাঁড়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী আর.বি.উদয়কুমার, জেলা কালেক্টর ভীরারাঘব রাও ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। মন্ত্রীর সামনেই ষাঁড়ের গুঁতায় আহত হয় প্রায় ৩৬ জন মানুষ। তাদেরকে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
জাল্লিকাট্টুকে ঘিরে কোন রকম অশান্তি, সহিংসতা কিংবা দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে তাকিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল, রাখা ছিল আটটি অ্যাম্বুলেন্সকেও।
উল্লেখ্য, পোঙ্গল উৎসব উপলক্ষ্যে আইনি বাধায় লাগাতার তিন বছর জাল্লিকাট্টু পালন করতে পারেনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দারা। জাল্লিকাট্টু নিষিদ্ধ হওয়ায় তামিল ভাবাবেগ আঘাত লাগে। এর ফলে গত জানুয়ারি মাসেই বিক্ষোভে রাস্তায় নামে সে রাজ্যের মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে মেরিনা বিচে জাল্লিকাট্টুর দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভেও বসেন তারা। জাল্লিকাট্টুর সমর্থনে এগিয়ে আসেন তারকরাও। অবশেষে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জাল্লিকাট্টুকে বৈধ করতে ছয় মাসের জন্য অডিন্যান্স জারি করা হয়।
যদিও স্বল্প মেয়াদী নয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি পাকাপাকি ভাবে জাল্লিকাট্টু চালু রাখা হোক। ভবিষ্যতে কোন দিন যাতে জাল্লিকাট্টু বন্ধ না করার চেষ্টা করা হয় তারও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দাবি ওঠে। এরপর কিছুটা চাপে পড়েই গত ২৩ জানুয়ারি তামিলনাড়ু রাজ্য বিধানসভায় এ সম্পর্কিত একটি বিলও পাশ করানো হয়। এর পরই গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় জাল্লিকাট্টু প্রদর্শিত হচ্ছে। এদিনও ছিল সেই ষাঁড়ের লড়াইয়ের আসর।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব