"মেয়েরা কুৎসিত বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হলে তাদের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন মেয়েদের বিয়ে করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে পাত্রপক্ষ বেশি পণ দাবি করে বসে"। ভারতের মহারাষ্ট্রে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এমন মন্তব্য করার পর তা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে। খবর বিবিসির।
বিবিসি খবরে বলা হচ্ছে, ওই বইয়ের পৃষ্ঠাটির ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, পাঠ্যপুস্তকে এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় সমাজের কুপ্রথাগুলোর অবসানে মোটেও সাহায্য করবে না।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিতর্কিত ওই অনুচ্ছেদটি বই থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিয়ের সময় পণ লেনদেনের প্রথা শত শত বছর ধরে চলে আসছে। পণ হিসেবে মেয়েদের পরিবার পাত্রপক্ষকে নগদ, স্বর্ণালঙ্কার, দামী জামাকাপড় ইত্যাদি অনেক কিছু দিয়ে থাকে।
বিবিসি জানায়, ভারতে পণ দেওয়া-নেওয়া আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে ১৯৬১ সালেই, তবে ভারতীয় সমাজে তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। যারা পণপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন, তাদের বক্তব্য পণপ্রথার শিকার বহু নারীকেই বাড়িতে সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে, এমন কী অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে অনেক সময় তারা মারাও যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব