লন্ডন-চীন, তাও আবার ট্রেনযোগে, হ্যাঁ বহু প্রতীক্ষিত সেই ট্রেন যাত্রা অবশেষে বাস্তব হতে যাচ্ছে। আর লন্ডন থেকে চীন সফরে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করবে ট্রেনটি। সময় লাগবে প্রায় ১৭ দিনের মতো। এই সময়ে ৭টি দেশ অতিক্রম করবে এই ট্রেন। লন্ডন থেকে হুইস্কি, নরম পানীয় এবং ওষুধ নিয়ে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলারুশ, রাশিয়া, কাজাখস্তান হয়ে ২৭ এপ্রিল ট্রেনটি পৌঁছবে চীনের ঝেঝাং প্রদেশে। এতে বিশ্ব বাণিজ্যের দরবারে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
প্রথম দিকে এই ট্রেন পরিষেবা নিয়ে আপত্তিই জানিয়েছিল ব্রিটেন। পরে অবশ্য বাণিজ্যের উন্নতির কথা ভেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। প্রথম ট্রেনটি চীন থেকে রওনা হয়ে লন্ডন পৌঁছায় তিন মাস আগে। এবার ব্রিটেন থেকে পণ্য আনার পালা। ট্রেনে বাণিজ্যের কারণে মাল পরিবহণের খরচ অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে দু’দেশ। ব্রেক্সিটের পরে চীনের সঙ্গে রেল পথে এই বাণিজ্যে অনেকটাই উপকৃত হবে ইউরোপের দেশগুলিও। টেরেসা মে অবশ্য এই বাণিজ্যে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে দাবি করেছেন।
মধ্য এশীয় দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এরইমধ্যে পাকিস্তান পর্যন্ত বিশেষ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করছে চীন। যদিও এই নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে এই নতুন ইকোনমিক করিডর তৈরি করার চেষ্টা করছে চীন। এতে ভারতে জঙ্গিদের প্রবেশ সহজ হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। যদিও ভারতের এই আপত্তিতে আমল দিতে নারাজ চীন। পশ্চিম এশিয়াকে হাতের মুঠোয় পেতে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন ইকোনমিক করিডর করতে মরিয়া বেইজিং।
সূত্র: এনডিটিভি ও আজকাল