জীবনের ৯৫টি বসন্ত পার করেছেন। যার মধ্যে ৭০ বছর কেটেছে বাকিংহাম প্যালেসের অন্দরে। সুখ–দুঃখে, বিপদে–আপদে সর্বদা স্ত্রীর পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে আর নয়। এবার রাজ কর্তব্য থেকে অব্যাহতি চাইছেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। এই বছরই সব দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বাকিংহাম প্যালেস। রাজ পরিবারের সর্বজ্যেষ্ঠ সদস্যের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাকিংহাম প্যালেসে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সে খবর প্রকাশ হতেই রানীর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে বেলা ১০টায় সব জল্পনা খারিজ করে দেয় বাকিংহাম প্যালেস। জানিয়ে দেওয়া হয়, রানী ঠিকই আছেন। অবসর নিচ্ছেন ডিউক অফ এডিনবার্গ।
যদিও আগের মতোই সর্বক্ষণ স্ত্রীর পাশে থাকবেন তিনি। তবে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভায় তাকে আর দেখা যাবে না। এতে সম্মতি আছে রানিরও। বর্তমানে ৭৮০টিরও বেশি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রিন্স ফিলিপ। অবসরের পরেও যুক্ত থাকবেন। তবে আগের মতো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবেন না।
আগামী মাসেই ৯৬ বছরে পা দেবেন প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বিয়ের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিংহাম প্যালেসে পা রাখেন তিনি। ১৯৫২ সালে সিংহাসনে বসেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আসন্ন নভেম্বরে তাদের ৭০তম বিবাহবার্ষিকী। প্রিন্স ফিলিপের দীর্ঘ কর্মজীবন রাজ পরিবারের যে কোনও সদস্যকে লজ্জা দেবে। শুধুমাত্র গত বছরই ব্রিটেনের ২১৯টি আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন তিনি।
প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অফ কেমব্রিজ কেট এবং প্রিন্স হ্যারির হাজিরা যোগ করলেও তার ধারে কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়। দেশের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক স্যার পেলহ্যাম ওয়ার্নারের স্মৃতিতে বুধবারই লর্ডসের মাঠে একটি স্ট্যান্ডের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। কিন্তু এত ধকল সইতে পারছেন না তিনি। তাই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতে সায় দিয়েছেন রানিও।