সম্প্রতি সুকমা হামলার জেরে সিআরপিএফের কমান্ড হেডকোয়ার্টার কলকাতা থেকে ছত্তিসগড়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ছত্তিসগড়ে মাওবাদী হামলায় ৩৭ জন সিআরপিএফ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুকমায় বেশ বড়সড় হামলা চালায় মাওবাদীরা। এরপরই নেয়া হলো এমন সিদ্ধান্ত।
গত ৪ মে সিআরপিএফের পক্ষ থেকে এই বদলির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সিআরপিএফের সেন্ট্রাল জোনের হেডকোয়ার্টার ছিল কলকাতায়। সেটিই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ছত্তিসগড়ে। বছর সাতেক আগে রায়পুর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল এই হেডকোয়ার্টার। যাতে পশ্চিমবঙ্গে মাও দমনে অনেক সুবিধাও পায়।
সোমবারই স্বারষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে মাও দমনের বিষয়ে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই কলকাতা থেকে ওই হেডকোয়ার্টার সরিয়ে নিয়ে রায়পুর থেকে কাজকর্ম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিআরপিএফের নতুন ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব রাই ভাটনগরকে। সেন্ট্রাল জোনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর কুলদীপ সিং ইতোমধ্যেই কলকাতা ছেড়ে রায়পুর রওনা হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বিস্তৃত মাও অধ্যুষিত এলাকায় অপারেশন চালানোর জন্য ২০০৯ সালের ৭ অগাস্ট সেন্ট্রাল জোন তৈরি হয়। ২০১০-এ এই জোনের হেডকোয়ার্টার নিয়ে আসা হয় কলকাতায়, যাতে রেল ও আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।
গত ২৪ এপ্রিল মাওবাদী হামলায় সুকমার জঙ্গলে শহীদ হন ২৫ জন সিআরপিএফ সেনা সদস্য। সিআরপিএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মতে, কলকাতায় থেকে কোনও অভিযানে লাভ হচ্ছে না। অন্যদিকে, ছত্তিসগড়ে মাও প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছে। সুকমা হামলার পর সিআরপিএফকে এয়ারফোর্স, বিএসএফ, আইটিবিপির সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব বাহিনী মিলে মাও দমনে বড়সড় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মে, ২০১৭/ওয়াসিফ