বিতর্কিত ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে 'রেড কর্নার নোটিশ' জারির আবেদন জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা -এনআইএ। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের কাছে লিখিত আবেদন করেছে সংস্থাটি।
দীর্ঘ ১০ মাস তদন্তের পর বৃহস্পতিবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছেন গোয়েন্দারা। গত বছর দেশছাড়া হওয়ার পর সৌদি আরবে ছিলেন জাকির নায়েক। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও তার একটি আস্তানা রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে নাকি তার নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
ইন্টারপোল রেড কর্ণার নোটিস জারি করলে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাসংস্থাগুলিরও নজরে চলে আসবেন তিনি। ফলে পৃথিবীর যে কোনও দেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে ভারতীয় গোয়েন্দারা।
বিতর্কিত ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক গত বছর জুলাই মাসে ঢাকার গুলশান হামলার পর খবরে উঠে আসেন। উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে জঙ্গিদের নাশকতা ঘটাতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, তার বক্তব্য শুনে যুবকরা জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সংস্থা ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’(আইআরএফ)–এর ওপরও গোয়েন্দাদের নজর পড়ে। তদন্তে নেমে জাকিরের ৩৭টি বেআইনি সম্পত্তির হদিশ পান তারা। যার অর্থমূল্য ১০০ কোটির বেশি।
২০০২ সালের বেআইনি অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বাজেয়াপ্ত হয় আইআরএফের ১৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। আইআরএফের অধীনে বেশ কিছু স্কুলও হাতছাড়া হয় জাকির নায়েকের। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনার নামে শিশুদের মনে ধর্মীয় বৈষম্যের বীজ বোনা হতো। আইআরএফের নামে প্রচুর পরিমাণ বিদেশি অনুদান আসত। জাকির সহযোগীদের হাত ঘুরে তা নাকি জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে যেত। তদন্তের প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার ডেকে পাঠানো হয় জাকিরকে। তবে দেশে ফেরেননি তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ