শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি, পেয়েছিলেন কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্বও। কিন্তু এবার সেই অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের আমলেই মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হচ্ছে লাখো লাখো রোহিঙ্গা মানুষ। কিন্তু সুচির নীরব ভূমিকা যেন এ নির্যাতনে তার সমর্থনকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আর তাই এবার মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিতাড়িত করা, তাদের উপর গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, গণহত্যা, গণধর্ষণের প্রতিবাদে অং সান সুচি'র সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে কানাডিয়ানরা।
ফরিদ খানের নেতৃত্বে সুচির সম্মাননা প্রত্যাহার দাবিতে এ পর্যন্ত নয় হাজার গণ স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর হাউস অফ কমন্সে উপস্থানের আহ্বান জানান। অপরদিকে লিবারেল এমপি ওমর আলঘবারা মিয়ানমারের চলমান সংকটে সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বিষয়টির জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আর নিরপরাধ মানুষের ওপর সামরিক সহিংসতার নিন্দা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রিসটিয়া ফ্রিল্যান্ড। কানাডা ২০০৬ থেকে ২০১০ সালে ৩৫৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কানাডায় স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সুচি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। এই সহিংসতায় নীরব থাকার কারণে তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি উঠলে নোবেল কমিটি জানান, কোনো পুরস্কার প্রত্যাহারের নিয়ম নেই। ২০০৭ সালে কানাডা সরকার তাঁকে সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রদান করে। এছাড়াও রাউল ওয়ালেনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাই লামা, আগা খান এবং মালালা ইউসুফজাই কানাডার সন্মানসূচক নাগরিকের তালিকায় রয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান