চ্যান হান চোই। দক্ষিণ কোরিয়ায় তার জন্ম। সেখান থেকে পাড়ি জমিয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। নাগরিকত্বও পেয়েছেন দেশটির। বর্তমানে সিডনির বাসিন্দা। কিন্তু এবার তিনি গ্রেফতার হলেন একজন ব্রোকার (দালাল) হিসেবে। তবে সামান্য কোনও দালাল নন তিনি। মিসাইল ও গণহত্যায় ব্যবহৃত মরণাস্ত্র বিক্রির দালাল তিনি। তার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ অজি পুলিশের। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় তিনি নাকি উত্তর কোরিয়ার 'ইকোনমিক অ্যাজেন্ট' হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
দেশটিতে মিসাইল বা অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া থেকে ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ায় কয়লা সরবরাহের কাজও করছিলেন এ ব্যক্তি।
কমনওয়েলথের উইপন্স অব মাস ডেসট্রাকশন অ্যাক্টের অধীনে অস্ট্রেলিয়ার এই প্রথমবারের মতো কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো। আটককৃত চ্যানের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এই ব্যক্তি অর্থ সংগ্রহের জন্যে গণহত্যা চালানোর অস্ত্র, ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি ইত্যাদি বিক্রি করতো এবং স্পেশালিস্টদের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করতো। এ আলোচনার মাধ্যমে ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎপাদনের স্থান নির্বাচন, বাইরে কোথাও উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হতো। এসব বিক্রির ক্রেতাও খুঁজতেন তিনি। চ্যানকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া পুলিশের মুখপাত্র গোহান আশ্বস্ত করে বলেছেন, এই ব্যক্তি ব্যবসায়ী কার্যক্রম অফশোর-এ পরিচালিত হয়। তবে তিনি অস্ট্রেলিয়া এবং এর জনগণের জন্যে হুমকি নন। কোনো ধরনের অস্ত্র বা মিসাইল ও মিসাইলের যন্ত্রাংশ অস্ট্রেলিয়া আনার কোনো ঘটনা তিনি ঘটাননি।
অবশ্য চোইয়ের দুটো ব্যবসায়ীক পদক্ষেপ ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সেভেন নেটওয়ার্ক। তবে আরো এ ধরনের ব্যবসায়ীক লেনদেন অতীতে হয়ে থাকতেই পারে। এসব ব্যবসায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিময় হয়েছে বলেই বিশ্বাস পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান