পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। আর এরই মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চীন। একটা নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে কখনই সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা যায় না, এমনটাই দাবি চীনের।
বছরের প্রথম দিনে ট্রাম্পের ট্যুইট প্রকাশ্যে আসার পরই চাপে পড়ে পাকিস্তান। আর চীন এ ব্যাপারে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘চীন সবসময়ই কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলায় আপত্তি জানিয়েছে। আর সন্ত্রাস দমনের দায়ভারও কারো একার নয়।’
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমেরিকা আশা করছে সন্ত্রাস দমনে এগিয়ে যেতে চীন হয়তো আমেরিকাকে বোঝাবে। এদিন সেই প্রসঙ্গেই চীনা প্রতিনিধি জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান অনেক স্বার্থত্যাগ করেছে।’ তার মতে, অপরের বিরুদ্ধে আঙুল না তুলে যৌথভাবে সন্ত্রাস দমনের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি এক ট্যুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে সন্ত্রাস দমনের নামে আমেরিকার কাছে অর্থ নিয়ে ঠকিয়েছে পাকিস্তান। আমাদের থেকে ৩৩০০ কোটি ডলার নিয়েছে। অথচ বিনিময়ে মিথ্যে কথা বলা ছাড়া কিছুই করেনি।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের স্বর্গ বলেও উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্টের এই ক্ষোভের পরই পাকিস্তানকে ২৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা আপাতত আটকে দিয়েছে আমেরিকা।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জানুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ