আমেরিকার বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নিলেন নয়া মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান। দায়িত্ব গ্রহণ করেই চীন ইস্যুকে প্রধান অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সম্প্রতি মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শানাহান। সেখানে বলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি পুরোপুরি বাস্তব করতে যাচ্ছেন। চীন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আধিপত্য মোকাবেলাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতি গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়।
রূদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সামরিক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যখন আমরা চলমান অভিযান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী, চীনের কথা স্মরণ রাখার কথা বলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার চীন-আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপনের দিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভিনন্দন জানানোর পরিবর্তে কিভাবে বেইজিংয়ের ওপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের শাসনামলে পেন্টাগন পশ্চিম এশিয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী লড়াই থেকে দৃষ্টি সরিয়ে এখন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি চীন ও রাশিয়াকে মোকাবেলার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অজুহাতে গত বছর চীনের সামরিক বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পেন্টাগন। সূত্র : কলকাতা২৪
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন