ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে আটটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র ছয় মাসের ছাড় দিয়েছিল এবং সেই দেশগুলির মধ্যে ভারতও ছিল। আগামী এপ্রিলে সেই সময়সীমা শেষ হলেও পরবর্তীতে আর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র সেই কথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। ইরানের রোজগারের পথ বন্ধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন বিদেশ দফতরে ইরান সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক শনিবার জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে ইরান। আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তেল রফতানি থেকে আর সেই রোজগারের পথটাই বন্ধ করতে চায়। দীর্ঘ দিন ধরেই আমেরিকার অভিযোগ করে আসছে, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত জোগাচ্ছে ইরান। সেটা বন্ধ করতেই তেল থেকে ইরানের আয়ে ধাক্কা দিতে চায় ওয়াশিংটন। যদিও সূত্রের খবর, ভারতসহ তেল আমদানিকারী আটটি দেশ তেল কিনলেও গত তিন মাসে ইরানের রফতানি রীতিমতো কমে গেছে।
ওপেক এবং তাদের সহযোগী দেশগুলি আগেই জানিয়ে দিয়েছে, জানুয়ারি থেকে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ১২ লক্ষ ব্যারেল কমাবে। সেই মতো তেল রফতানি কমানোর কথা ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এর ফলে চলতি মাসেই তা দৈনিক ১০% কমিয়ে ৭২ লক্ষ ব্যারেলে নামিয়ে আনা হবে। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতে আরও ১ লক্ষ ব্যারেল তেলের সরবরাহ কমানো পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দু’মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছিল প্রায় ৪০%। ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেলের দাম নেমে গিয়েছিল ৫০ ডলারে। কিন্তু তা ফের বাড়তে শুরু করে ছুঁয়ে ফেলেছে ৬০ ডলার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর