সম্প্রতি ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজার বিরুদ্ধে যে ব্যর্থ কমান্ডো অভিযান চালিয়েছিল সে সম্পর্কে আরও তথ্য দিলে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। দুই মাসে আগে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।
হামাস বলেছে, প্রতিরোধ আন্দোলনের টেলিফোন লাইনে আড়িপাতার যন্ত্রও বসানোর জন্য এটি চালানো হয়েছিল।
ইজ্জতদিন আল-কাস্সাম ব্রিগেড গতকাল এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে ইসরায়েলের কমান্ডোরা তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দেখা গেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলিদের ফেলে যাওয়া নানা যন্ত্রপাতির ছবিও রয়েছে।
কাস্সাম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসরায়েলের ১৫ জন চৌকস কমান্ডো ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে গাজায় অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার ভুয়া গাড়ি নিয়ে গাজায় ঘোরাঘুরি করেছে। এ ছাড়া, তারা যে সব পরিচয় পত্র ব্যবহার করেছে তাও জাল ছিল বলে জানান তিনি। গাজায় এ অভিযান চালানোর জন্য ইসরায়েলিয়ের কমান্ডোদের গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
অবশ্য, খান ইউনুসের কাছে একটি তল্লাসি চৌকিতে ইসরায়েলিদের রুখে দেয়া হয়। এরপরই সেখানে প্রচণ্ড বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। এতে ইসরায়েলের কমান্ডো বাহিনীর কমান্ডার নিহত এবং অপর একজন আহত হয়। তেল আবিবের পাঠানো একটি হেলিকপ্টার পরে বাকি কমান্ডোদের সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল।
গত নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ এ ব্যর্থ অভিযানকে কেন্দ্র করে গাজায় প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এ সময়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলীকৃত অঞ্চলের লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর চারশ'র বেশি রকেট হামলা করেছে। অবশ্য, ১৩ নভেম্বর মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি হয়। ২০১৪ সালের পর গাজায় এ রকম প্রচণ্ড যুদ্ধ আর হয় নি।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত