জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ)-এর সাথে তৃণমূল, এসপি, বিএসপি, পিডিপি হাত মেলালে কেন্দ্র থেকে মোদিকে হঠানো সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেই বাকী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার কাজটি কারতে হবে।
এমনকি এক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকে, তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন দল টিআরএস, ওড়িষ্যার ক্ষমতাসীন দল বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপি একত্রে এনডিএ-কে সমর্থন জানালেও মোদির পক্ষে বিপুল সংখ্যক জনতার সমর্থন নিয়ে ফিরে আসা সম্ভব নয়।
ইন্ডিয়া টুডে এবং কারভি ইনসাইটস-এর যৌথ জরিপেই উঠে এসেছে এসব তথ্য। দেশে যদি এই মুহূর্তে ভোট হয় সেক্ষেত্রে এই সম্ভাবনাই উঠেছে জরিপে। দেশ জুড়ে ভোটারদের মন বুঝতেই জরিপ চালায় ইন্ডিয়া টুডে-কারভি ইনসাইটস। জরিপে ১৩ হাজর ১৭৯ ভোটারদের অভিমত নেওয়া হয়েছিল।
জরিপে দেখা গেছে অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে গঠিত মহাজোটের সাথে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি-বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) নেতা অখিলেশ যাদব, পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিপি) নেত্রী মেহেবুবা মুফতি হাত মেলালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির পুনরায় ফিরে আসাটা যথেষ্ট কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। লোকসভায় আসন সংখ্যা ৫৪৩টি। ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২। সেখানে এনডিএ জোট পেতে পারে ২৫৭ আসন। অন্যদিকে তৃণমূল, এসপি বা বিএসপি-এর মতো দলগুলির সমর্থনে ইউপিএ গতবারের চেয়ে (৫৯ আসন) এবার বেশি আসন পেয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারে।
গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন কিন্তু সম্প্রতি মতের মিল না হওয়ায় এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), উপেন্দ্র কুশওয়ার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএসপি)-এর মতো আঞ্চলিক দলগুলি।
তবে ইউপিএ’এর সাথে মমতা, মায়াবতী, মেহেবুবা, অখিলেশের মতো নেতারা যোগ দিলেও এনডিএ’এর প্রাপ্ত শতকরা ভোটের হার সমান থাকবে। এনডিএ এবং ইউপিএ-দুই পক্ষই শতকরা ৪৪ ভাগ ভোট পেতে পারে। অন্যরা পেতে পারে শতকরা ১২ ভাগ ভোট।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা