শিরোনাম
২৪ জুলাই, ২০১৯ ০৯:৫৫

কংগ্রেস-জেডিএস জোটের পতন, আস্থা ভোটে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর হার

অনলাইন ডেস্ক

কংগ্রেস-জেডিএস জোটের পতন, আস্থা ভোটে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর হার

হারের পর মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী

ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বিধানসভায় আস্থা ভোটে হারলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তার পক্ষে ভোট পড়ল ৯৯টি। বিপক্ষে ১০৫টি। এর মাধ্যমে রাজ্যে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৪ মাসের জোট সরকারের পতন ঘটেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেছেন, কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের সরকার ভিতরে-বাইরে কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের নিশানায় ছিল প্রথম দিন থেকেই। ক্ষমতা কব্জা করার পথে এই সরকারকে বিপদ ও বাধা হিসেবে দেখছিল তারা। তাদের লোভই জিতে গেল আজ। পরাজয় হল গণতন্ত্র, সততা ও কর্নাটকের জনগণের।

কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, এটা কেন্দ্রীয় সরকার, কর্নাটকের রাজ্যপাল, মহারাষ্ট্রের সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল। বিজেপি অনৈতিক, নির্লজ্জ, ও খোলাখুলি ভাবে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। কংগ্রেস এর বিরদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ জানাবে।

তবে এ বিষয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পার দাবি, কর্নাটকে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় শুরু হবে এ বার। 

যাদের সমর্থন প্রত্যাহারে এই পালাবদল, কংগ্রেস ও জেডিএসের সেই বিদ্রোহী বিধায়কেরা কালই মুম্বাই থেকে রাজ্যে ফিরবেন বলে একটি সূত্র জানালেও নতুন সরকারের শপথের পরেও তা হতে পারে। মুম্বাইয়ে যে হোটেলে তারা রয়েছেন, তার সামনে আজ এক দফা বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সমর্থকরা। সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া দুই নির্দল বিধায়ককে আটকে রাখার অভিযোগ নিয়ে বেঙ্গালুরুতেও ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি ও কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে। বাড়ে উত্তেজনা। বেঙ্গালুরুতে  ৪৮ ঘণ্টার জন্য ১৪৪ ধারা ও মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।ওই নির্দল দুই বিধায়কের নাম আর শঙ্কর এবং এইচ নাগেশ।

আস্থা ভোটের জন্য রাজ্যপাল বাজুভাই বালা দু’বার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। দু’বারই তা পেরিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টে  অভিযোগ দায়ের হয়, স্পিকারের সাংবিধানিক অধিকারে অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।   

ভোটাভুটির আগে কুমারস্বামী বলেন, আস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্য ছিল না। আলোচনা চলছে বলেই ইস্তফা দিইনি। ভোট এড়াতে চাইনি।

গোটা পর্বে দীর্ঘ সময় লাগার জন্য কুমারস্বামী ক্ষমাও চেয়ে নেন স্পিকার ও রাজ্যবাসীর কাছে। বলেন, রাজনীতিতে এসেছি আচমকা ও অপ্রত্যাশিত ভাবে। ২০১৮-তে বিধানসভা ভোটের পরেই রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলাম। এখন আমি ভারমুক্ত। সবচেয়ে সুখী মানুষ।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর