ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ায় থেরেসা মে-এর পর বুধবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বরিস জনসন। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে বছর পার করতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিবিসির খবর, বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নতুন নয়। ২০১৬ সালে বেক্সিট গণভোটে হারার পর ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় যোগ দেন বরিস জনসন। তবে থেরেসা মে-এর সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থীদের চাপে বরিস জনসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন থেরেসা মে।
কিন্তু যেভাবে টেরিজা মে ইউরোপীয় কমিশনের সাথে ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য মীমাংসা করছিলেন তাতে প্রচণ্ড নাখোশ ছিলেন বরিস জনসন। ২০১৮ সালের জুলাইতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তার ব্রেক্সিট চুক্তিতে সংসদের অনুমোদন পেতে বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর চাপের মুখে থেরেসা মে যখন দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নতুন সুযোগ লুফে নেন বরিস জনসন।আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনে কোনো চুক্তি ছাড়াই তিনি ব্রিটেনকে ইইউ জোট থেকে বের করে আনবেন - এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থী শিবিরের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন বরিস জনসন।
তবে ব্রেক্সিট নিয়ে তার দল এবং পুরো ব্রিটিশ রাজনীতিতে যে বিভেদ ও মতানৈক্য চলছে, তাতে অক্টোবরের মধ্যে তিনি তার দেশকে ইইউ থেকে বের করে আনতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে বিরাট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
যদি না পারেন, বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ খুবই সংক্ষিপ্ত হতে। আগামী বছর এই মাসে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন তা নিয়ে অনেক বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব