ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে খুব আত্মবিশ্বাসী মানুষ বলে জানেন সবাই। তার চালচলনেও আভিজাত্য। ভাষণ দেওয়ার সময় শব্দ চয়ন করেন খুব যত্নের সঙ্গে। মাতৃভাষার সঙ্গে প্রায়ই মিশিয়ে দেন ল্যাটিন ও গ্রিক শব্দ। বোঝা যায়, ওই দু’টি ভাষায় তার ভালো দখল আছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তার জীবনের শুরু হয়েছিল অন্যভাবে। এমনকি যৌবনেও তিনি কাজকর্মে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি।
এখানে রইল তার সম্পর্কে কিছু তথ্য যা অনেকেই জানেন না। তিনি টানা আট বছর কানে শুনতে পেতেন না। তার যে রোগ ছিল, তার নাম গ্লু ইয়ার। অর্থাৎ ইয়ার ক্যানাল ভর্তি ছিল এক ধরনের তরলে। এর জন্যই শুনতে পেতেন না। অস্ত্রোপচার করার পরে তিনি ওই রোগ থেকে মুক্তি পান। তিনি যৌবনে ছিলেন সাংবাদিক। টাইমস অব লন্ডনে চাকরি করতেন। একটি সংবাদের সঙ্গে এক ব্যক্তির উদ্ধৃতি হিসাবে এমন কিছু লিখেছিলেন যা তিনি আদৌ বলেননি। ধরা পড়ার পরে তার চাকরি যায়। রিপোর্টার হিসাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতাও কমে যায়।
পরবর্তীকালে তিনি ফের বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতেন। একবার লিভারপুল শহর সম্পর্কে এমন কিছু লিখেছিলেন যা পড়ে পুরো শহরের লোক তার ওপরে রেগে যায়। সেজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। বরিস জনসন খুব স্বাস্থ্যসচেতন। প্রায়ই তাকে জগিং করতে বা সাইকেল চালাতে দেখা যায়। তবে তিনি সবচেয়ে ভালোবাসেন রাগবি। খেলতে গিয়ে মাঝে মাঝেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েন। নানা দুর্ঘটনা হয়। আগে ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ছিলেন।
একবার কূটনৈতিক সফরে জাপানে গিয়ে রাগবি খেলতে নামেন। তখন একটি ১০ বছরের ছেলেকে মেরে মাটিতে ফেলে দেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বরিস জনসনের চুলও সোনালি। কিন্তু দু’জনের হেয়ার স্টাইলে অনেক পার্থক্য আছে। ট্রাম্পের চুল সব সময় নিখুঁতভাবে সেট করা থাকে। বোঝাই যায়, চুলের ফ্যাশনের ব্যাপারে তিনি বেশ সচেতন। বরিস জনসন ঠিক তার উল্টো। তার চুল সবসময়েই এলোমেলো। যখন সাংবাদিক ছিলেন তখনও তার চুল এমন থাকত। এখন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, কিন্তু তার চুল একই রকম আছে। একে বলে ‘স্লেপ্ট অন’ লুক। অর্থাৎ চুল এমন অবিন্যস্ত থাকবে যা দেখে মনে হবে সদ্য ঘুম থেকে উঠে এসেছেন। সূত্র : দ্য ওয়াল
বিডি-প্রতিদিন/শফিক