ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন বরিস জনসন। থেরেসা মে’র উত্তরসূরী হিসেবে কনজারভেটিভ দলের প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে সদস্যদের সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি। এতে ক্ষমতাসীন এ দলের পরবর্তী প্রধান এবং একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন বরিস।
এদিকে জানা যায়, ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পরকীয়ার কারণে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার সাবেক স্ত্রী মারিনা হুইলার। মারিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও বর্তমানে বয়সে ২৫ বছরের ছোট এক তরুণীর সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন বরিস। ধারণা করা হচ্ছে তাকে নিয়েই ডাউনিং স্ট্রিটে থাকবেন তিনি
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস জানায়, প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা মসটিনের সঙ্গে বিচ্ছেদের মাত্র ১২ দিন পর মারিনা হুইলারকে বিয়ে করেন বরিস জনসন। ২৬ বছরের সংসারে বরিস ও মারিনার চারটি সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের আগে সংসার মোটেও সুখের ছিলো না তাদের।
২০০৪ সালে সাংবাদিক পেট্রোনেলা ওয়াটের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোয় বরিসকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মারিনা। পরে সম্পর্ক পুনস্থাপনে সক্ষম হন বরিস। কিন্তু ২০১০ সালে প্রতারণার অভিযোগ এনে বরিসের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন মারিনা।
পরে মারিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও ক্যারি সাইমন্ডের সঙ্গে লিভ টুগেদার শুরু করেন বরিস। যা এখনও চলছে।
বরিস জনসনের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক ওঠে। সমালোচকরা তাকে ব্রিটেনের ট্রাম্প হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরিস জনসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন