ভারতে তিন তালাক দেয়ায় স্বামী নাফিসের (২৬) বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন সায়িদা নামে এক নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ বছরের কন্যার সামনে ওই নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর গদ্রা গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাফিস মুম্বাইতে কাজ করেন।
সায়িদার বাবা রমজান খান জানায়, গত ৬ আগস্ট টেলিফোনে তার মেয়ে সায়িদাকে তিন তালাক দেয় তার স্বামী নাফিস। এরপর সায়িদা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে যায়, কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তারা মেয়েকে বলে তার স্বামী মুম্বাই থেকে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।পরে ১৫ আগস্ট নাফিস ফিরলে পুলিশ তাদের ডেকে পাঠায়। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সায়িদাকে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে বলে পুলিশ।
সায়িদার মেয়ে ফাতিমা পুলিশকে জানায়, শুক্রবার বাবা নামাজ পড়ে এসে মাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। বলে সে তিন তালাক দিয়েছে। এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। আমার দাদা আজিজুল্লাহ, দাদিমা হাসিনা, খালা গুড়িয়া ও নাদিয়া আসে। বাবা মায়ের চুল ধরে পেটাতে থাকে। খালারা কেরোসিন ঢালে মায়ের গায়ে। দাদা আর দাদিমা মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ সায়িদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
সায়িদার ভাই রফিক জানিয়েছে, পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। আমি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।
শ্রাবস্তীর পুলিশ সুপার বলেন, নাফিস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন, পণের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তিন তালাকের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন