তিন শতাধিক ছেলেকে বলপূর্বক প্রণয় সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করার দায়ে ২৬ বছরের এক যুবককে অভিযুক্ত করেছে নরওয়ের পুলিশ। কর্তৃপক্ষ বলছে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে যৌন নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ওই অভিযুক্ত যুবককে ফুটবল রেফারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ইন্টারনেট ফোরামও স্ন্যাপচ্যাট নামের ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে এই টিনেজারদের টার্গেট করা হতো। নিজেকে মেয়ে হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত যুবক। নিজের নগ্ন ছবি দেয়ার কথা দিয়ে ছেলেদের কাছ থেকে নিতেন নানা ধরনের নগ্ন ভিডিও।
জানা গেছে, একবার ভিডিও পেয়ে গেলে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হতো ভিকটিমদের। শুধু তাই নয়, বাধ্য করা হতো নতুন নতুন ভিডিও পাঠাতে।
খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ১৩ থেকে ১৬ বছরের তিন শতাধিক ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করে এসেছেন অভিযুক্ত। আর এই নির্যাতনের তালিকায় নরওয়ে ছাড়াও ডেনমার্ক ও সুইডেনের টিনেজাররাও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সরকারি আইনজীবী গুরো হ্যানসন বুল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নরওয়ের ইতিহাসে নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি। আমরা এই ঘটনাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের কম্পিউটার থেকে ১৬ হাজারের বেশি এমন ভিডিও পেয়েছে তারা। যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। তারা আরও জানায়, ২০১৬ সাল থেকে তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত যুবক এ ঘটনা ‘স্বীকার করে নিয়েছেন’ বলে নরওয়ের এনআরকে টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী গানহিল্ড লায়রাম। সূত্র : কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত