ডেনমার্কে খননকার্য চালিয়ে প্রস্তর যুগের বেশ কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আছে ৫ হাজার ৭০০ বছর আগের চুইংগাম। এটি মূলত বার্চ গাছের জমে যাওয়া রসের এক খণ্ড, যা চুইংগামের মতো ব্যবহার করেছেন এক তরুণী। গত ১৭ ডিসেম্বর ন্যাচার কমিউনিকেশন্স নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে এ সংক্রান্ত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষা করে ওই গামের ভেতর থেকে তরুণীটির সম্পূর্ণ জিন কাঠামো পাওয়া গেছে। এই প্রথম হাড় ছাড়া অন্য কোনো বস্তু থেকে আদিম মানুষের সম্পূর্ণ জিন কাঠামো মিলল। ওই তরুণীর গায়ের রং ও চুল ছিল কালো, চোখের মণি দুটি ছিল নীল। সম্ভবত তিনি ছিলেন শিকারি। তার দৈহিক গঠন স্ক্যান্ডেনেভিয়া নয়, ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের মানুষের সঙ্গে মেলে।
গবেষকরা জানান, আঠা চিবানোর আগে বাদাম ও হাঁসের মাংস খেয়েছিলেন তরুণী। দাঁত পরিষ্কার বা ক্ষুধা কমানোর জন্য আঠা চিবাচ্ছিলেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নারীর মুখে গ্ল্যান্ডের অসুখ সৃষ্টি করে এমন ব্যাকটেরিয়া ছিল। কিন্তু তার ওই অসুখ হওয়ার তথ্য মেলেনি। এমনও হতে পারে ভাইরাসটি ওই যুগে কার্যকরী হয়নি। বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই ভাইরাসের বিবর্তন নিয়েও গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা