জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া বিষয়ক একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। আর এ ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সিরিয়া সরকারের অনুমতি না নিয়েই দেশটিতে কথিত মানবিক ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে শনিবার নিরাপত্তা পরিষদে যৌথভাবে একটি প্রস্তাবের খসড়া উত্থাপন করে বেলজিয়াম, জার্মানি ও কুয়েত। কিন্তু পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য দেশ চীন ও রাশিয়ার ভেটোর মুখে প্রস্তাবটি পাস হতে পারেনি।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে তুরস্কের দু’টি এবং ইরাকের একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানো হবে। তবে এ কাজের জন্য দামেস্কের অনুমতি নেওয়া হবে না।
প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির আগে চীন ও রাশিয়া জানায়, সিরিয়ার মানবিক পরিস্থিতির অপব্যবহার করে দেশটির সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের জন্য এ প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো অসংখ্যবার সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণের ছদ্মাবরণে দেশটিতে তৎপর সন্ত্রাসীদের জন্য অস্ত্র ও রসদ পাঠিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্যকে ইসরাইলের অনুকূলে পরিবর্তন করে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা সিরিয়ায় সহিংসতা চাপিয়ে দেয়। বিগত বছরগুলোতে ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে পরাজিত করে সিরিয়া সেনাবাহিনী। দেশটিতে তৎপর অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও বর্তমানে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো ও তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা সন্ত্রাসীদের এ পরাজয়ের বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/কালাম