মার্কিন হামলায় ইরাকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস্ বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন প্রতিশোধের ডাক দিলে গ্রিস সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল সোলেইমানি মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল সরকার ওই সতর্কতা জারি করে।
এদিকে, নেতানিয়াহু কার্যালয়ের এক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এথেন্স থেকে ফিরে আসছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ইসরায়েল মনে করছে, সবচেয়ে চৌকস একজন সমরবিদকে এভাবে হারানোয় ইরান তার আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় ইসরায়েলকে টার্গেট করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা হামলা করতে পারে উত্তরে থাকা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর মাধ্যমে, অথবা ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর মাধ্যমে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, বিশ্বজুড়ে সব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে এসব খুনি অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেয়া।
ইতোমধ্যে লেবানন ও সিরীয় সীমান্তের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি স্কি রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
সীমান্তে সতর্কতা জারির পাশাপাশি ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে থাকা তাদের মিশনগুলোকেও সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে বলেছে। তারা আশঙ্কা করছে, ইরান কোনোভাবে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের পথ খুঁজতে পারে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছে শুক্রবার। আর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য না করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন