ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে বিল পাস হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
তিনি এ বিল পাসকে একটি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।
বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসের শাহাদাতের কথা উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, নিশ্চিতভাবে এই রক্ত মধ্যপ্রাচ্যে নয়া পরিবর্তনের সূচনা করবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদিসহ মার্কিন হামলায় শহীদদের শোক ভুলতে ইরান ও ইরাকের জনগণের সময় লাগবে। তিনি বলেন, ইরাকের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের বিল পাস এবং মার্কিন হামলায় শহীদদের নামাজে জানাযায় লাখ লাখ ইরাকি নাগরিকের অংশগ্রহণ ইরানি জনগণের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে।
ইরানের সরকার ও জনগণ অতীতের মতো ইরাকের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। জেনারেল সোলাইমানির শাহাদাতে শোক জানিয়ে ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ সিস্তানি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে যে চিঠি দিয়েছেন সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রুহানি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো দু’দেশের ধর্মীয় নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইরাক ও ইরানের জনগণ চলমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
টেলিফোনালাপে ইরাকের প্রেসিডেন্ট দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের ওপর মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন,ইরান ও ইরাক পারস্পরিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার মাধ্যমে চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
গত শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন শহীদ হন। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/কালাম