সংবেদনশীল, কঠোর প্রশাসক, যথার্থ রাষ্ট্রনায়ক, নির্ভীক সেনাপতি— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে লেখা একটি বই প্রকাশ করতে গিয়ে এই ভাষাতেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন অমিত শাহ। এমন একটা সময়ে মোদি সম্পর্কে অমিতের এই প্রশংসা উড়ে এল, যখন
দু’দিন আগে জেএনইউয়ে দুষ্কৃতি তাণ্ডব ঘিরে ভারতে ক্ষোভে ফুঁসছে। সেই ক্ষোভ বেড়েছে বিষয়টি নিয়ে মোদি বা অমিত মুখ না খোলায় এবং অপরাধীরা ধরা না পড়ায়।
মোদিকে নিয়ে প্রকাশিত বইটির নাম, ‘কর্মযোদ্ধা’। বইয়ে অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ী, স্মৃতি ইরানিদের লেখা আছে মোদিকে নিয়ে।
অমিত শাহ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি একজন সংবেদনশীল ব্যক্তি, দক্ষ সংগঠক ও কঠোর প্রশাসক, যথার্থ রাষ্ট্রনায়ক, নির্ভীক সেনাপতি। ছোটবেলা থেকে দারিদ্র, অপমান, অভাব সহ্য করেও তিনি উদার। সমর্থ রামদাস এক সময় বলেছিলেন, তিনিই রাজা, যিনি ‘উপভোগশূন্য স্বামী’। আজকের দিনে মোদিই তার আদর্শ নজির। ক্ষমতায় থেকেও নিজের জন্য কিছু করেননি। চাণক্য নীতির সূত্র মেনে তিনি এমন রাজা, যিনি প্রথম সেবক।’’
দেশজোড়া তুমুল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক বেহাল দশার মাঝে তার এত মোদি-স্তুতি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে আঁচ পেয়েই বোধহয় অমিত বলে রাখলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ না জানলে তার জীবন বোঝা যাবে না। কটাক্ষ সহ্য সাহস আছে তার মধ্যে। ২০০১-২০২০ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক জীবনে অনেক কঠিন সময় এসেছে, দাঙ্গার সামনে পড়েও সমান ভাবে উন্নয়ন করেছেন। তার গুজরাট মডেলের জোরেই জননায়ক হয়েছেন। এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে সংবিধানের পরিধিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্ত করেছেন, বিশ্বে দেশের নাম করেছেন।’’
অমিতের এ দিনের প্রতিটি শব্দ নিয়েই সরব বিরোধীরা। তাদের কটাক্ষ, মোদি এত সংবেদনশীল যে আলিগড়-জামিয়া-জেএনইউয়ে এমন তাণ্ডব দেখেও চুপ? এমন কঠোর প্রশাসক যে, কোনও ঘটনাতেই দোষীরা সাজা পাওয়া তো দূর, ধরাও পড়ে না? এই প্রসঙ্গে অমিত শাহকেও নিশানা করছেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/হিমেল