জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুটি ঘাঁটিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইরান ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
এতে কমপক্ষে ৮০ জন মার্কিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
ইরানের এই হামলার বিষয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ নয় শান্তি চান তিনি ।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ শীর্ষ জেনারেলদের নিয়ে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর বোঝা যাচ্ছে যে, ইরান তার অবস্থান থেকে সরে আসছে।
তবে ইরানের হামলায় কোনও মার্কিনি হতাহত হয়নি বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, গত সপ্তাহে আমরা বিশ্বের শীর্ষ এক সন্ত্রাসীকে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই ইরান সংঘাতের পথ পরিহার করে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নজর দেবে। যদি তারা শান্তির পথ বেছে না নেয় তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
হোয়াইট হাউসে দেওয়া ওই বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, এটা বোঝা যাচ্ছে যে ইরান তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। আর তাই ওয়াশিংটন এর কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবে না। যতদিন আমি নেতা আছি, ইরান কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।
এ সময় তিনি ন্যাটো সামরিক জোটকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি মনযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এর আগে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ইরান যদি কোনও মার্কিনি নাগরিক কিংবা স্থাপনায় হামলা করে তাহলে সম্পূর্ণরুপে সেই হামলার জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে, ইরানের হামলার পরপরই এর আগে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ‘সব ঠিক আছে, ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের তথ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে। যা হয়েছে, ভালো হয়েছে! আমাদের রয়েছে সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী। বিশ্বের নানান স্থানে তারা রয়েছে।’ সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
বিডি প্রতিদিন/কালাম