১৪ জুলাই, ২০২০ ০১:২৯

নেপালে ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক

নেপালে ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার

প্রতীকী ছবি

ভারতের বেসরকারি নিউজ চ্যানেলগুলোর উপর থেকে আংশিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল নেপাল। সোমবার নেপালের ক্যাবল টেলিভিশন অপারেটরদের পক্ষ থেকে আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। খবর এই সময়ের।

নেপাল টেলিভিশন অপারেটর্স' অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ধ্রুব শর্মা এদিন সাংবাদিকদের জানান, এক বৈঠকে ভারতের বেসরকারি নিউজ চ্যানেলগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, কয়েক'টি নির্দিষ্ট ভারতীয় নিউজ চ্যানেলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বলবত্‍‌ থাকবে।

শর্মার কথায়, 'কয়েকটি চ্যানেল এখনও আপত্তিজনক খবর সম্প্রচার করে যাচ্ছে। সেগুলো নেপালে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।' গত বৃহস্পতিবার নেপালের কেব্‌ল অপারেটরদের সংগঠন দূরদর্শন ছাড়া ভারতের সমস্ত বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। সংগঠনের অভিযোগ ছিল, নেপালের জাতীয় আবেগকে আঘাত করে, ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে খবর সম্প্রচার করা হচ্ছে।

হিমালয়ের এই দেশটির কেব্‌ল অপারেটর সংগঠনের বক্তব্য, ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলেঅ নেপাল-বিরোধী ভুয়া খবর সম্প্রচার করে, দেশের কুৎ‌সা করছে। যে কারণে তারা এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। ওলি সরকার থেকে ক্যাবল অপারেটরদের উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে কি না, এ নিয়ে খোলসা করে তাদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

ভারতীয় নিউজ চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল নেপালের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। গত শুক্রবার নেপাল ভারতের কাছে একটি 'কূটনীতিক নোট' পাঠায়। তা ভুয়া, ভিত্তিহীন খবর সম্প্রচারের জন্য ভারতীয় চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার আর্জি জানানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, খবরগুলো বিভ্রান্তিকর, ভুল তথ্যে ভরা।

সম্প্রতি বিতর্কিত মানচিত্র সংশোধন করার প্রস্তাব নেপালের সংসদে পাস হয়। নতুন মানচিত্রে ভারতের তিনটি অংশ-- কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দুই তৃতীয়াংশ সদস্য বিশিষ্ট নেপালি সংসদ এই বিতর্কিত বিলের পক্ষে ২৭৫ আসনের মধ্যে ২৫৮ ভোট দিয়েছে।

ভারত এবং নেপালে সীমান্ত বিরোধের কারণে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছে। গত ৮ মে, লিপুলেখ থেকে ধরচুলা পর্যন্ত নির্মিত রাস্তাটির উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরেই নেপাল প্রতিবাদ জানিয়ে লিপুলেখকে তার অংশ হিসাবে উল্লেখ করে। ১৮ মে, নেপাল একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে। এতে ভারতের তিনটি অঞ্চল লিপুলেখ, লিম্পিয়াধাউরা এবং কালাপানিকে নেপালের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নেপালের এই সংশোধিত মানচিত্রটি নেপাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভূমি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে। সভায় উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা এটি সমর্থন করেন। ওলি সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে স্বভাবতই ভারত ও নেপালের বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। নেপাল এখনও এই মানচিত্রে অনড়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ভারতের বিরুদ্ধে অবৈধ দখলের অভিযোগ আনেন। জমি ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানায়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর